রেসিপি ১.
খুদ ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো জল দিতে হবে। জলের পরিমাণ এমন হওয়া চাই, যাতে ভাত সেদ্ধ হওয়ার পর ফ্যান না ঝাড়াতে হয়। ফ্যান অর্থাৎ জল একেবারে মরে গিয়ে ভাতের সঙ্গে থেকে যাবে। খেয়াল রাখতে হবে জল যেন বেশি না হয়, তাহলে ভাত ঝরঝরে হবে না কিন্তু! দরকারে ভাত সেদ্ধ কম থাকলে চাল ফুটে ওঠার পর আবারো একটু জল দেওয়া যাবে। তাই বুঝে এই জল দিতে হবে প্রথমবার।
খুদ ধুয়ে জল দেওয়ার সময় পরিমাণ মতো লবণ দিতে হবে এবং আলু ছুলে পিস পিস করে কেটে ওতে দিতে হবে সেদ্ধ করার জন্য।
জল মরে গিয়ে ভাত একদম ঝরঝরে হয়ে এলে নামিয়ে, আলু বের করে নিয়ে কাঁচা পেঁয়াজ, শুকনো লঙ্কা, নুন, সর্ষের তেল দিয়ে ভালো করে আলু মাখিয়ে নিয়ে এই ভাত খাওয়া যাবে… ভাতের সঙ্গে বাড়তি জিরে গুঁড়া, শুকনো লঙ্কা এবং সর্ষের তেল মাখিয়ে খেলে দুর্দান্ত লাগে…
রেসিপি ২.
এক নম্বর রেসিপির সবটাই হবে, শুধু এতে মুসুর ডাল ধুয়ে খুদের সঙ্গে একেবারেই যোগ করে দিয়ে জল দেবেন, নুন প্রথমে দেবেন না, তাহলে ডাল ভালো সেদ্ধ হবে না। একটু হলুদ গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা লঙ্কা কুচি এবং কাঁচা সর্ষের তেল দেবেন। আলু পিস পিস করে কেটে দিতে পারেন, আলু ভর্তা চাইলে।
এক নম্বর রেসিপির মতো একইভাবে জলের পরিমাণ ঠিক রেখে ভাত, ডাল সেদ্ধ হয়ে এলে নামিয়ে নেবেন, তার আগে এতে নুন দেবেন। ভাত জল মরে গিয়ে একদম ঝরঝরে হলে নামিয়ে তাতে ঘি, আলু ভর্তা দিয়ে খান। দুর্দান্ত লাগবে।
এছাড়াও এই খুদ শুকনো কড়াইয়ে ভেজে খেতে ভালো লাগবে। খিচুড়ি করতে পারেন এতে, দুর্দান্ত হবে। এর ফ্যানা ভাতও কিন্তু অপূর্ব লাগে ঘি ছড়িয়ে দিয়ে খেতে।
** এই ভাতের ফ্যান ঝরিয়ে ফেলবেন না। ব্যাস। জল কম দিন, যাতে খুদ সেদ্ধ হয়, আবার ভাত ঝরঝরে হয়।
দারুন।