কোন আচার কী দিয়ে, কীভাবে খেতে ভালো লাগবে আজ তার একটা লিস্ট দিই!

১। জলপাইয়ের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার— এই আচার শুধু মুখে, শেষ পাতে, পেয়ারা/পেঁপে/কুল মাখাতে ভালো লাগবে।

 

২। কুলের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার— শুধু মুখে বিশেষ করে গরমের বিকেলে এবং শেষ পাতে ভালো লাগবে।

 

৩। লঙ্কার তেল-মশলার আচার— এই আচারটা গরম ডাল-সবজির সঙ্গে ভাতে দুর্দান্ত লাগে। সন্ধের মুড়ি মাখা খাওয়া যাবে এর তেল দিয়ে। যারা ঝাল পছন্দ করেন, তারা রুটির সঙ্গে একটু মশলা আর একটা লঙ্কা নিয়েও খেতে পারবেন। এছাড়া এই আচারের মূলতঃ আসল কাজ হলো, যে কোনো তরকারিতে একটু এই লঙ্কার আচারের লঙ্কা এবং তেল-মশলা দিলে এর স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়। যেহেতু এতে অনেক রকমের ঘরে পেষা মশলা আছে, তাই তরকারিতে বাড়তি মশলার কাজ করে দেয়।

 

৪। রসুনের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার(একদম হালকা মিষ্টি, টক)— এই আচার মুখের রুচি ফেরানোয় অদ্বিতীয়। জ্বর-সর্দিতে মুখে কিচ্ছু খেতে না ভালো লাগলে অনায়াসে এই আচার দিয়ে দু’মুঠো গরম ভাত খাওয়া যাবেই। এবং রুচি ফেরাবে মুখের। এছাড়াও গরম ভাতে সবজির সঙ্গে এই আচার মানানসই। আর তরকারিতে এই আচার বাড়তি স্বাদ এনে দেয়। যে কোনো আমিষ তরকারিতে একটু রসুনের এই আচার দিলে, তার স্বাদ এবং গন্ধ আলাদা রূপ নেবে।

 

৫। তেঁতুলের টক-ঝাল-মিষ্টি আচার— তেঁতুলের আচারে আমরা একটু টকশি ভাব রাখি, একেবারেই রগরগে মিষ্টি করি না। একটু টকশি ভাব থাকলে তেঁতুলের গন্ধটা বেশ জিইয়ে থাকে।

এই আচার শুধু মুখে দারুণ লাগবে, শেষ পাতে, ডাল পাতে ভালো লাগবেই। এছাড়াও যে কোনো ফল মাখানোতে এই আচার দেওয়া যাবে। তাতে স্বাদ আসবে অনেকটাই।

 

৬। আদা-রসুন-কাঁচা লঙ্কার আচার— এই আচারটাও রসুনের আচারের মতো রুচি ফেরাতে পারবে, গরম ডাল পাতে মানাতে পারবে এবং তরকারির স্বাদে নতুনত্ব আনতে পারবে। 

তবে একে একটু রোদে দিতে হবে ঘন ঘন।

 

(যে কোনো তেলের আচার কাঁচা সর্ষের তেল দিয়ে রোদে দিতে হবে। আর মিষ্টি জাতীয় আচার ফ্রিজে রাখতে পারেন, বা রোদে দিতে পারেন…)

2 Responses

  1. ত্যাগরাজ হলে কা৺কড়ার মূল্য জানতে পারি?book কি ভাবে করতে হবে?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *